Incieto WebTeam

Incieto WebTeam

বুয়েটের রাজনীতিকরণ এক ষড়যন্ত্রের অংশ

কাউকে না জানিয়ে এমনকি তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী না নিয়ে মে মাসের ১০ তারিখ ২০২৩ সালে ইন্ডিয়া কংগ্রেসের বিরোধী তরুণ নেতা রাহুল গান্ধী গিয়েছিলেন দিল্লি ইউনিভার্সিটির হোস্টেলে; সেখানে তিনি ছাত্রদের সাথে বসে কিছু কথা বার্তা এবং খানা খেয়েছিলেন। অনুমতি ছাড়া তাঁর হোস্টেলে যাওয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় অননুমোদিত (unauthorised), অসঙ্গত এবং নিয়মকানুনের বাইরে বলে ঘোষণা করে। বিশ্ববিদ্যালয় আরও বলে যে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং হোস্টেল কোন সর্বজনীন বা পাবলিক প্লেস নয় যে এখানে যে কেউ যখন তখন আসতে আর যেতে পারবে। কর্তৃপক্ষ এজন্য তাঁকে তীব্র ভাষায় ভর্ৎসনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখানেই থেমে থাকেনি, তাঁকে নোটিস পর্যন্ত দিয়েছে (May 11, 2023, The Times of India)। আমাদের বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের সভাপতি প্রশ্ন করছে যে, ‘বুয়েট পাকিস্তান নাকি যে ভিসা-পাসপোর্ট নিয়ে প্রবেশ করতে হবে?’ (১ এপ্রিল ২০২৪, মানবজমিন)। আপনার পাকিস্তান যাবার প্রয়োজন নেই, বাড়ির পার্শ্বে দিল্লিতে গিয়েই দেখে আসেন সে দেশের কোন নেতা বা সাধারণ নাগরিক ‘পাস’ বা পূর্ব অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাস বা হোস্টেলে প্রবেশ করতে…

আরো পড়ুনবুয়েটের রাজনীতিকরণ এক ষড়যন্ত্রের অংশ

পরিবার ভাঙ্গন এবং ধর্ষণ ও সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতিকরণ

পরিবার হল মানব জাতির মুল একক (unit),  ভিত্তি (base) বা কাঠামো (foundation) যার ধ্বংস মানে মানবজাতির মুল্যবোধ, ভালবাসা এবং অস্তিত্বের ধ্বংস। পরিবার ছাড়া কি একটি শিশুর জন্য এই পৃথিবীতে দ্বিতীয় কোন প্রতিষ্ঠান বা জায়গা আছে যেখানে নিঃস্বার্থ স্নেহ, ভালবাসা, সম্মান, সততা, সহযোগিতা, দয়া, ত্যাগ, শরীকানা, সমতা, বিশ্বাস, লজ্জা, একতা, আনুগত্য, এবং দায়িত্ববোধ এর মত আবশ্যিক মানবীয়গুণ গুলোর ধারন, শিক্ষা, চাষাবাদ এবং চর্চা হয়? জন্মের পরে কি এগুলো আমরা পরিবার থেকেই শিখি না? পশুদের পরিবার নেই, ফলে তাদের না  আছে একে অপরের প্রতি সম্মান, মমতা, আনুগত্য বা দায়িত্ববোধ আর না আছে নিঃস্বার্থ ভালবাসা, শিষ্টতা, এবং সুখী সমাজ গড়ার ক্ষমতা বা যোগ্যতা। আমাদের জন্মের পর সর্বপ্রথম পরিবারই আমাদেরকে মানুষ নামের একটি শ্রেষ্ঠ প্রাণীর সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা দেয় এবং আমাদেরকে সেভাবেই যোগ্য এবং দক্ষ করে গড়ে তুলে। পরিবার নামক পবিত্র প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই আমাদের মা বাবা ভালবাসার বীজ আমাদের হৃদয়ের ভিতর এমনভাবে রোপণ করে দেন যে আমরা সারা জীবন এই বীজের রক্ষনাবেক্ষন এবং চাষাবাদ করি এবং তা থেকে সর্বাধিক উপকার নিই এবং এক সময় এই পবিত্র আমানত আবার আমরা আমাদের সন্তান-সন্ততির হৃদয়ের মধ্যে স্থানান্তর করি।  আমাদের মা বাবা, বড় ভাই-বোন এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন হলেন আমাদের শিক্ষক যারা  তাঁদের নিজস্ব ধারণকৃত প্রেম, ভালবাসা, ত্যাগ, সততা, নিঃস্বার্থপরতা, সম্মান, শিষ্টতা এবং দায়িত্ববোধের মত গুণগুলো দিয়ে আমাদেরকে গড়ে তুলেন — শিক্ষা দেন এবং চর্চা করান । অন্যকথায়, একটি পরিবারের সদস্যরা শুধু রক্তের বন্ধনেই একে অপরের সাথে বাধা নয়, তাঁরা তো আত্মার বন্ধনেও বাধা। একটি পরিবারের  ধ্বংস, সার্বক্ষনিক অন্তর্কলহ, বিচ্ছেদ বা বিলোপ মানেই  হল (ঐ পরিবারের)  কিছু মানুষের অশান্তি, সময়ক্ষেত্রে মানবিকতার ধবংস, অনেকগুলো জীবন ও আত্মার কান্না এবং পশুদের মত স্বার্থপর হবার সুযোগ সৃষ্টি হওয়া।  একবার ভাবুন যে আপনার জন্মের পর পরই আপনার মা-বাবার ছাড়াছাড়ি হয়ে সংসার ভেংগে গেছে; মা চলে গেছে অন্য একজনের সাথে আর বাবা গেছে আর একজনের সাথে। আর আপনি আছেন পরিবারবিহীন এক লোকালয়ে অথবা সোশ্যাল কেয়ারে কিছু প্রফেশনাল সোশ্যাল ওয়ার্কার বা চাকুরীজীবীর তত্বাবধানে যারা আপনার যত্ন নিবেন টাকার বিনিময়ে। এমন জীবন কি কেউ চায়?         ভাল কথা, বনের পশুদের কি অবস্থা?  যদিও বাচ্চাদের লালন পালনের ক্ষেত্রে একটা নির্দিস্ট সময় পর্যন্ত তাদের মধ্যে ভালবাসার মত মানবিক কিছু গুণ পাওয়া যায় তবু ও বন জংগলের এই পশুদের পরিবার নেই এবং এগুলোর কোন প্রশিক্ষণ পায় না বিধায় তারা মানবিক নয় এবং মা-বাবা-ভাই-বোন-চাচা-ফুফু-খালা-মামা-আত্মিয়-স্বজন বলতেও কিছু নেই। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের   পরিবারগুলো যে ভাবে ভাঙ্গা শুরু করেছে তা না থামালে এদেশের মানুষের বন জংগলের প্রাণীদের মত হওয়া ছাড়া কোন পথ থাকবে না। এ কথা কি বলা যায় না যে, পারিবারিক মুল্যবোধ, স্বামী-স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা এবং দায়িত্ববোধ রক্ষার্থে এই সরকার কিছু তো করেইনি, উপরন্ত সরকারী প্রচার মাধ্যম, সিনেমা, নাটক, শিক্ষা, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ এবং নারীর ক্ষমতায়ন – এসবের মাধ্যমে জ্বলন্ত ঘরে ঘি ঢালার মত এ পবিত্র বন্ধনকে আরও ক্ষণভঙ্গুর করেছে? লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাসের পরিবর্তে বিবাহ বিচ্ছেদের বাধাহীন উর্ধগতি এবং নারী ক্ষমতায়নের বদলে নারী নির্যাতনের রেকর্ড কি তা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নয়? বিবিসি এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (14 July 2022) এর রিপোর্ট অনুযায়ীঃ “ডব্লিউইএফ-এর ২০২২ সালের ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ’ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ৬ ধাপ পিছিয়ে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে ৭১ নম্বরে নেমে গেছে। গতবছর এই তালিকায় বাংলাদেশ ৬৫ নম্বরে ছিল। তার আগের বছর ছিল ৫০ তম অবস্থানে“। ২০২৩ সালে এই নাম্বার ৭২।    এ অভিযোগ কী আনা যায় না যে, জনগণের দ্বারা অর্পিত ক্ষমতা এবং সম্পদের চরম অপব্যবহার করে এ সরকার মসনদে থাকার জন্য রাজধানী ঢাকাকে পুলিশি ক্যাম্প বানিয়ে এবং ভেংগে দুই ভাগ করে তাদের ক্ষমতার জন্য অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে অথচ এই ঐতিহাসিক ঘনবসতি শহরের বাসিন্দাদের পারিবারিক ভাঙ্গনকে রোধ করতে চরমভাবে ব্যার্থ হয়েছে? এবং কারো কারো মতে সরকার ধর্মনিরপেক্ষতার ছদ্মবেশে ইচ্ছে করেই এই ভাঙ্গনে সহযোগিতা করেছে ? প্রমান?  হায়! এই “ঢাকায় ৪০ মিনিটে ১টি তালাক (১৩ জুন ২০২৩, প্রথম আলো) হয়”। আরও কনফার্ম হতে চান? “ঢাকায় দিনে ৩৭টি সংসার ভাঙছে (১৪ জুন ২০২৩, মানবজমিন)“। দেশে বিবাহ নামক পবিত্র বন্ধনের মহামারি নাকি তালাকের উৎসব চলছে – তা আপনারাই বলুন। সারা দেশেই পরকীয়া, পারিবারিক সহিংসতা এবং  ভন্ড প্রেমিকের বাসায় টিনেজ প্রেমিকার আমরণ অনশন যেন একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।  এটাই কি একটা সরকারের পারিবারিক এবং সামাজিক উন্নয়ন?       এ সরকারের আমলে জনগণের টাকায় রাজশাহীকে সবচেয়ে সুদর্শন নগরী করা হয়েছে অথচ  “বিবাহ বিচ্ছেদে দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে এই রাজশাহী বিভাগ। সেখানে বিবাহ বিচ্ছেদের হার দশমিক ৬১ শতাংশ” (২৪, রোববার, সেপ্টেম্বর, ২০২৩,  দ্য ডেইলি স্টার বাংলা)। উপরে ফিটফাট ভীতরে সদরঘাট! অভুতপুর্ব উন্নয়নঃ এ যেন আধুনিক ইংরেজি কবি ক্যারল অ্যান ডাফির মিস হ্যাভিশাম কবিতার সেই বিখ্যাত অক্সিমরন (oxymoron) এর মত যা তিনি তাঁর প্রেয়সীকে সম্বোধন  করেছেন এই বলে “ বিলাভেড সুইটহার্ট বাস্টার্ড” (Beloved sweetheart bastard) বাংলায় যার অর্থ হতে পারে ‘…

আরো পড়ুনপরিবার ভাঙ্গন এবং ধর্ষণ ও সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতিকরণ

একজন কবি ও লেখকের মৃত্যু এবং শেষ গন্তব্যস্থল

গল্প হল দুই ধরনেরঃ একটি হল কাল্পনিক বা বানানো ঘটনাসূমহকে শৈল্পিক রূপ দিয়ে আনন্দের মাধ্যমে মানব জীবনের কোন একটি সত্য বা শিক্ষাকে বের করে আনা। এক্ষেত্রে ঘটনা (events), চরিত্র (characters), সেটিংস (setting), সংঘাত (conflict) এবং কল্পচিত্র (image) – এগুলোর কোনটি সত্য অথবা মিথ্যা অথবা সবগুলোই মিথ্যা অথবা কিছু সত্য এবং কিছু মিথ্যার মিশ্রণ হতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা ইশপের গল্পের উদাহরণ টানতে পারি, যেখানে কাল্পনিক বা বানানো চরিত্র এবং ঘটনা থাকে, কিন্তু ঘটনার শৈল্পিক সংযোজন, ছবির মত প্রতিফলন এবং জীবনমুখী  উপস্থাপনার মাধ্যমে একটা প্রফুল্ল বা আনন্দময় পরিবেশ ও প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়। এখানে চরিত্রের সাথে ঘটনার সংযোজন, সাহিত্যিক/ভাষার কলা-কৌশল (literary/language device), রুপক ভাষা (figurative language),  আপাত/কল্পিত (made-up) উত্তেজনা, মানবিক আবেদন (mental appeal) বা চাপ, নকল সংঘাত (fake conflict), আগ্রহ (curiosity), এবং উৎকণ্ঠা (suspense) থাকে; সবশেষে গল্পের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে একটা নৈতিক শিক্ষা, উপদেশ এবং মানব জীবনের এক সত্য বা বাস্তব অবস্থা (true state of life) – যা হয়ে উঠে সমস্ত…

আরো পড়ুনএকজন কবি ও লেখকের মৃত্যু এবং শেষ গন্তব্যস্থল

সকল মানব ভাস্কর্যই মূর্তি কিন্তু সকল মূর্তিই ভাস্কর্য নয়

আপনারা ‘স্ট্যাচু অভ লিবার্টি’ (The Statue of Liberty) বা ‘স্বাধীনতার মূর্তির’ কথা হয়ত সবাই জানেন। এটাকে কিন্তু কেহই ‘স্কালপচার অভ লিবার্টি’ (The Sculpture of Liberty) বা ‘স্বাধীনতার ভাস্কর্য’ বলে না যদিও এটা যিনি তৈরী করেছেন সেই ফ্রেডারিক অগাস্তে বারথল্ডি (Frederic-Auguste Bartholdi) একজন স্থপতি বা স্কাল্পটর হিসাবেই বিখ্যাত। আমেরিকাকে দেওয়া ফ্রান্সের এই উপহারটি আসলে একটি স্থাপত্যকলা তথা ভাস্কর্যকর্ম যা মূলতঃ একটি মানবমূর্তি বা স্ট্যাচু; এটাকে কেউ ভাস্কর্য না বলে মূর্তিই বলে। এই আমাদের পাশের দেশ ভারত বা ইন্ডিয়ার গুজরাটে ২০১৮ সালে সরদার বল্লভভাই প্যাটেল এর মূর্তি তৈরি করা হয়েছে যেটার নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্যা স্ট্যাচু ওভ ইউনিটি’ (The Statue of Unity) বা ‘ঔক্যের মূর্তি’; এটাকেও কিন্তু ‘ঐক্যের ভাস্কর্য (The Sculpture of Unity)’ না বলে ‘ঐক্যের মূর্তিই’ বলাই হয়। চীনে অবস্থিত ‘স্পিং টেম্পল বুদ্ধা’ (Spring Temple Buddha) যা পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম স্থাপত্যকলা তাকেও কিন্তু ভাস্কর্য না বলে মূর্তিই বলা হয়। রাশিয়ার ‘দ্যা মাদারল্যান্ড কলস’ (The Motherland Calls) হল পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম স্ট্যাচু…

আরো পড়ুনসকল মানব ভাস্কর্যই মূর্তি কিন্তু সকল মূর্তিই ভাস্কর্য নয়

Palestine: Can the Western or Arab Leaders Solve the Problem? (Part 2)

The holy land of Palestine is a sacred place to all the Abrahamic religions, so we must ensure the peaceful living of all the faithful people in this land. Having said this, we must admit the fact that an occupier, who has been an organized killer, rapist, and destroyer for the last 75 years, does not have any right of self-defence. Think of the same killer bombing on the hospitals and schools and then shooting the school children and the patients on a regular basis; think of the alike killer plundering your land in your motherland every day, forcing you to get out of your home, and blocking your food, water, medicine, fuel, electricity, and education persistently. Does this systematic killer have any right of self-defence? Does this orderly killer have any licence to kill, rape, plunder, bomb and destroy more and more? What do your laws and conscientious say?…

আরো পড়ুনPalestine: Can the Western or Arab Leaders Solve the Problem? (Part 2)

Palestine: Can the Western or Arab Leaders Solve the Problem?

The French president has equated ISIL with Hamas, a political organisation and representative of the Gazan Palestinians, who are elected by the direct votes of the indigenous people. On the contrary, ISIL, as reported by many sources, is ‘an offshoot of Al-Qaeda in Iraq’ (Al Jazeera, September 18, 2014) though there exits strong speculation that it is created and financed by America (The Guardian, 3 June 2015). However, according to the France daily ‘Liberation’, France company ‘Lafarge’ is accused of funding €13 million euros ($15.3 million dollars) to armed groups, including ISIL, in Syria. The Liberation’ also vouches that Macron’s government was well-aware of this financial backing to ISIL (Al Jazeera, 10 Sep 2021). Now the same Macron of France is proposing for an international coalition to obliterate Hamas like they did to destroy ISIL (Reuters, October 24, 2023)! Can you recollect France’s former President Nicolas Sarkozy accused of taking…

আরো পড়ুনPalestine: Can the Western or Arab Leaders Solve the Problem?

Self-defence of Israel and Its Ultimate Plan

The concept or definition of self-defence of Israel is entirely different from that of Palestine. The leaders of America and the West have the same say in the context and question of the defence of Israel. According to the USA Secretary of State – Blinken, America will always be on the side of Israel even though Israel has become strong enough to defend itself (CNN, October 12, 2023). But what about the defence of the poorest, prisoned, colonised, and the most over-crowded vulnerable people of the world? Blinken adds that America will defend Israel against these Palestinian people (in the present context of the Israel-Palestinian conflict) as long as America exists. Does not it look as if Israel is a part of America? Nuclear weapon state Israel alone is capable of its own protection against all the Middle Eastern countries while in fact, Palestinians need only food, pure water, electricity,…

আরো পড়ুনSelf-defence of Israel and Its Ultimate Plan

গল্প, লিজেন্ড এবং মিথ

(সম্পাদিত সংস্করণ) আমাদের বাংলাদেশে যে কে ঐতিহাসিক, মিথলজিক্যাল আর কে যে লিজেন্ডারি ফিগার এটা যেমন বুঝা খুব মুশকিল, ঠিক তেমনিই কোনটা যে গল্প আর কোনটা যে লিজেন্ড বা মিথ সেটা বুঝা আর এক একাডেমিক কসরতের ব্যাপার। যেমন ধরেন কয়েকদিন আগে মারা গেলেন সিরাজুল আলম খান নামের বাম ঘরানার এক সময়ের প্রতাপশালী রাজনৈতিক নেতা; তাকে দেখি টকশোতে অনেকেই বলছেন সে বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তী। এরকম অনেক নেতাকেও তার দলের নেতা কর্মীরা বলে থাকেন কিংবদন্তী চিরঞ্জীব নেতা। দেবত্ব আরোপিত কিংবদন্তী, মৃত্যুঞ্জয়ী এবং চিরঞ্জীব নেতারা ইতিমধ্যেই চিরদিনের জন্য মৃত্যুবরন বা পটল তুলেছেন এবং তারা আর কক্ষনই ক্ষমতার মসনদে বসতে পারবেনা। মৃত্যুর কাছে পরাজিত হয়ে কেউ মরে গেলে সে আবার অমর, চিরঞ্জীব হয় কী করে? যে জন্ম, মৃত্য, রোগ-শোককে জয় করে বেঁচে থাকতে পারে না তাকে আবার কিভাবে মৃত্যুঞ্জয়ী বলা যায়? যে নিজের জন্ম নিজে দিতে পারে না বা যাকে অন্যজন জন্ম দেয় সে আবার চিরন্তন হয় কি করে? বলতে পারেন এটা ফিগারেটিভলি বা রুপকভাবে…

আরো পড়ুনগল্প, লিজেন্ড এবং মিথ

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এবং হযরত যাইনাব (রাঃ) এর বিবাহ- একটি সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ

ভূমিকা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এবং হযরত যাইনাব (রাঃ) এর বিবাহ- একটি সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ ……. কিছু গবেষক, উৎসাহী এবং জ্ঞানপিপাসু তরুণ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সাথে হযরত আয়েশা এবং যাইনাব (রাঃ) এর বিয়ে নিয়ে অনেক সঙ্গত এবং অসঙ্গত প্রশ্ন করে এবং এ বিষয়ে তাঁরা অনেকেই জানতে চায়। কিন্তু সঠিক তথ্যের অভাবে তাঁদের মধ্যে অনেক বিভ্রান্তি কাজ করে। আর কিছু সমালোচক এবং ইসলামের শক্ররা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে, সম্ভবতঃ, সবচেয়ে বেশী গালি দেয় এই দুটি বিয়ে নিয়ে। এগুলোকে তারা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এবং ইসলামদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে জঘন্য অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে। এ অধ্যায়ে আমরা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে যাইনাব(রাঃ)-এর বিয়ে নিয়ে একটি সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ করব। আমরা আরও দেখব, বিরুদ্ধবাদীরা কিভাবে কোরআনের একটি সম্পুর্ন আয়াতের খণ্ডিত ও অসম্পুর্ন অংশ ভুলভাবে এবং সেই সাথে একাটি জাল হাদিসকে যুগ যুগ ধরে এই অসৎ কাজে ব্যবহার করে আসছে । তাদের অভিযোগটা কি? তারা বলে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাঁর পালকপুত্র হযরত যায়েদ (রাঃ) এর স্ত্রী হযরত যাইনাব(রাঃ)-কে কৌশলে জোরপুর্ব্বক বিয়ে…

আরো পড়ুনরাসুলুল্লাহ (সাঃ) এবং হযরত যাইনাব (রাঃ) এর বিবাহ- একটি সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ